চাঁদপুর জেলার পরিচিতি

চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে চাঁদপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত জেলা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে ডাকা হয়।

আয়তন ও অবস্থান

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৩°০০´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩২´ থেকে ৯১°০২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চাঁদপুর জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। চাঁদপুর জেলার মোট আয়তন ১,৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সীগঞ্জ জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে।

ইতিহাস

১৫৬০ খ্রিস্টাব্দের জীন্ ডি ব্যারোসের মানচিত্রে নদী তীরবর্তী ‘ট্রপো’র অবস্থান দেখানো হয়েছে। উক্ত ‘ট্রপো’ তৎকালীন ত্রিপুরা জেলা বা কুমিল্লা অঞ্চল। সুতরাং বর্তমান চাঁদপুরের ভৌগলিক অবস্থান নিকট ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পাওয়া যায়। ১৬৫২ সালে পর্তুগীজ নাবিক স্যানসন দ্যা আবেভিল অঙ্কিত মানচিত্রে বান্দের নাম চিহ্নিত স্থানে একটি বড় নদী বন্দর ছিলো এবং সেটি চাঁদপুর বন্দর ছিলো। ১৭৭৯ খ্রি. ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ জরিপকারী মেজর জেমস্ রেনেল তৎকালীন বাংলার যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তাতে কেবলমাত্র ত্রিপুরা জেলাই দেখানো হয়নি-- চাঁদপুর ও কুমিল্লার সঠিক অবস্থানও চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকাস্থ চাঁদপুর সমিতি

ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন

  • চাঁদপুর বড় স্টেশন
  • ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র
  • মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর
  • হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ (বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম)
  • হযরত শাহরাস্তি (রহ.) এর মাজার
  • ধানুয়া মিনি হাওর (ধানুয়া-গাজীপুর ব্রিজ)
  • লোহাগড় মঠ
  • লোহাগড় জমিদার বাড়ি
  • রূপসা জমিদার বাড়ি
  • শোল্লা জমিদার বাড়ি
  • বলাখাল জমিদার বাড়ি
  • বড়কুল জমিদার বাড়ি